i-Health News

Health News Update

Breaking

Monday, October 29, 2018

6:03 AM

ভেজাল দুধ চেনার অব্যর্থ উপায়

একটা অতি প্রয়োজনীয় খাবারে প্রতিদিন ভেজাল দেওয়া হচ্ছে, মানুষ খাচ্ছে। অথচ ধরতেও পারছে না। কারণ উপায় জানাটা সাধারণ মানুষের পক্ষে বেশ শক্ত।

খাদ্যটি প্রতিদিন প্রায় প্রতি পরিবারে অতি প্রয়োজনীয়। সেটি দুধ। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে দুধেও মিশছে ভেজাল। তবে দুধে ভেজাল মিশছে বললে ভুল বলা হবে। বরং বলা ভাল, পুরো দুধটাই ভেজাল দিয়ে তৈরি। কীভাবে তৈরি হয় ভেজাল দুধ? সম্প্রতি তা-ই হাতে কলমে দেখিয়েছে হলদিয়ার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজের খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ এবং ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ফুড সায়েন্সটিস্টস অ্যান্ড টেকনোলজিস্টস (ইন্ডিয়া) এর যৌথ উদ্যোগে অক্টোবর মাসে দু'ধাপে খাদ্য সুরক্ষা সচেতনতা শিবির করে দুধে ভেজালের ভয়ঙ্কর দিকটা হাতেকলমে দেখানো হয়। পড়ুয়ারা ভেজাল দুধ তৈরির পদ্ধতি দেখে বিস্মিত হন।

কীভাবে তৈরি হয় ভেজাল দুধ? তৈরি হয় গুঁড়ো দুধের সঙ্গে একাধিক উপকরণ মিশিয়ে। যে উপকরণগুলোর প্রায় সবটাই শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বর্ণালী সাহা নামে ওই কলেজের ছাত্রী তথা গবেষকের দাবি, গুঁড়ো দুধের সঙ্গে ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু ইত্যাদি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভেজাল দুধ। ওই সচেতনতা শিবিরে ৪০ মিলিলিটার গুঁড়ো দুধের সঙ্গে বনস্পতি ঘি, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু-সহ অন্যান্য উপাদান এক মিলিলিটার করে মেশানো হয়। তাতে ৩৫০ মিলিলিটার ভেজাল দুধ তৈরি করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যে দুধ ওই কলেজের গবেষকেরা তৈরি করেছিলেন তার সঙ্গে আসল দুধের কোনও ফারাক নেই। গন্ধ-বর্ণ সব কিছু মিলে যায় আসল দুধের সঙ্গে।

কেন দুধে ভেজাল না দিয়ে পুরো দুধটাই ভেজাল উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়? এর একাধিক কারণ রয়েছে। গবেষকদের দাবি, কৃত্রিম উপায়ে বানানো দুধ এক দিনের বেশি টাটকা থাকে। ভেজাল দুধ কোনওভাবে নষ্ট না হওয়ায়, দেশের যে কোনও প্রান্তে রফতানি করা যেতে পারে। তাতে ভেজালের কারবারিদের লাভের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যায়। অসাধু ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে সুবিধা হল, ভেজাল দুধ ফুটিয়ে খেলেও, ধরার উপায় নেই। চিকিৎসকদের স্পষ্ট বক্তব্য, কৃত্রিম দুধ বানানোর জন্য যে উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে, তার সবটাই শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। 

কিন্তু ভেজাল দুধ ধরার কি কোনও উপায় নেই? একটা উপায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের দাবি, ভেজাল দুধে এক টুকরো সয়াবিন ফেলে দিলে ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোবে। এর কারণ রাসায়নিক বিক্রিয়া। ভেজাল দুধের উপকরণ কস্টিক সোডা আর সয়াবিনে থাকা উৎসেচক জারিত হয়ে অ্যামোনিয়া উৎপন্ন করে। তাই ভেজাল দুধ থেকে ঝাঁঝালো গন্ধ বেরতে থাকে। কিন্তু এই পদ্ধতি তো আর জানা নেই সকলের। ফলে সেই ক্ষতিকর দুধ পান করে চলেছেন ক্রেতারা। এদিকে দুধ আবার সুষম খাদ্য। শিশু থেকে রোগী কারও উপায় নেই তা বর্জন করার। তা ছাড়া সারা রাজ্যে বহু চায়ের দোকান। সেখানেও লাগে দুধ। ফলে এমন বিষ নিয়মিত পানের আশঙ্কা থেকেই যায়। 


ভেজাল দুধ চেনার আরও ৫টি অব্যর্থ উপায়
১। ভেজাল দুধ হাতে নিয়ে ঘষলে সাবানের মতো অনুভূতি হবে।

২। কিছুটা দুধ নিয়ে তার মধ্যে সালফিউরিক অ্যাসিড মিশিয়ে দেখুন। যদি নীল রং দেখা যায়, বুঝতে হবে ফর্মালিন মেশানো রয়েছে দুধে।

৩। কয়েক ফোটা দুধ ঘরের মেঝেতে ঢেলে দিন। মাটির ঢাল অনুযায়ী দুধ গড়িয়ে যাবে। দুধ খাটি হলে মেঝেতে সাদা দাগ পড়বে। কিন্তু ভেজাল দুধে কোনও দাগ থাকবে না।

৪। দুই চামচ দুধ একটি কাপে নিন। এতে দুই ফোটা টিংচার আয়োডিন মিশিয়ে দিন। দুধের রং হালকা নীল হলে বুঝবেন, এতে ভেজাল হিসেবে আটা বা ময়দা মেশানো রয়েছে।

৫। আধা কাপ দুধ একটা পাত্রে নিয়ে তার মধ্যে ২ চামচ লবণ দিন। দুধের রং যদি নীল হয়ে যায় বুঝতে হবে এতে কার্বোহাইড্রেট মেশানো হয়েছে। সূত্র: দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা (অনলাইন)
2:50 AM

খাওয়ার পরে লবঙ্গ চিবালেই মিলবে অ্যাসিডিটি থেকে আরাম

গ্যাসের সমস্যা বা বুক জ্বালায় ভোগেন? অ্যাসিডিটি যে কোনও বয়সের মানুষের জন্য খুবই সাধারণ ঘটনা। অ্যাসিডিটির সমস্যায় অস্বস্তিকর বোধ করেন এবং আপনার মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়, গলা বুক জ্বালা করে। অ্যাসিডিটির প্রাথমিক কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মশলাজাতীয় খাবার, শারীরিক ব্যায়ামের অভাব, অনিয়মিত খাবারের, অত্যধিক মদ্যপান ও মানসিক চাপ।

অম্লতার চিকিত্সার জন্য একটি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার হল লবঙ্গ:

প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া যায় এমন একটি ঐতিহ্যবাহী মসলা হল লবঙ্গ। লবঙ্গ মাথাব্যাথা, মুখের রোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, মাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন, সাইনাস, ফ্লু এবং সাধারণ ঠান্ডা ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি মোকাবেলার জন্য পরিচিত। এটি ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে সাহায্য করে, যকৃতকে রক্ষা করে এবং হাড়ের শক্তি উন্নত করে।

দীর্ঘকাল ধরে অম্লতা চিকিত্সায় লবঙ্গ ব্যবহৃত হচ্ছে। লবঙ্গের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি পেরিস্টালিসিস (পাকস্থলীতে খাবারের গতি নিয়ন্ত্রণ) বৃদ্ধি করে, লালা উত্পাদন বাড়ায়, পাচনে সহায়তা করে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স বন্ধ করে। লবঙ্গ পেটের প্রদাহ কমায়। পেটের অন্যান্য রোগ যেমন বুক জ্বালা, অম্লতা এবং বদহজমেও এই লবঙ্গ উপকারী। লবঙ্গের ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে পেট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালিতে উত্পাদিত অতিরিক্ত অ্যাসিডের প্রভাব বন্ধ করতে সহায়তা করে। এই বৈশিষ্ট্যই গ্যাস তৈরি হতে দেয় না।


কীভাবে অম্লতা বা অ্যাসিডিটির চিকিত্সায় লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন?

একবার লবঙ্গের একটি টুকরো মুখে নিন, হালকা চিবিয়ে তাঁর রস বের করে সেটি মুখেই রেখে দিন। আস্তে আস্তে ক্ষরিত হওয়া রস অ্যাসিডিটি কমিয়ে দেয়, অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে দেয় না। খাবার পরেই এক টুকরো লবঙ্গ মুখে রাখুন।

এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ অম্লতার চিকিত্সায় সাহায্য করতে পারে।


কিছু অন্যান্য সাধারণ খাবার দেখে নিন যা অম্লতা কমাতে সহায়তা করে:
  • ঠান্ডা দুধ
  • বাটারমিল্ক
  • তুলসী পাতা
  • এলাচ
  • নারকেল জল
  • শিম বীজ
  • অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
  • গুড়
  • আদা
  • জিরা বীজ


অম্লতা কমাতে পারে এমন কিছু সহজ এবং কার্যকর টিপস:
  • একটু হাঁটুন
  • সোজা হয়ে বসুন
  • আলগা পোশাক পরুন
  • উপরের শরীরকে সোজা রাখুন
  • সিগারেটের ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন
  • মসলাযুক্ত বা ভারী খাবার খাবেন না।


সূত্র: এনডিটিভি বাংলা (অনলাইন)
2:11 AM

সামুদ্রিক মাছ হৃদরোগ প্রতিরোধ, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, বার্ধক্য প্রতিরোধ ও স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কমায়

সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ মিঠা পানির মাছের তুলনায় বেশি। আমাদের দেশে সারা বছরই বাজারে বিভিন্ন জাতের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। প্রজাতি ভেদে সামুদ্রিক মাছের স্বাদও ভিন্ন হয়। কিন্তু পুষ্টিগুণ বিচারে সব সামুদ্রিক মাছই অনন্য।

মাছ একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে এর ভূমিকা রয়েছে। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড যা হৃদরোগ প্রতিরোধ ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য করে।

এছাড়াও সামুদ্রিক মাছ আয়োডিন ও জিংকের অন্যতম উৎস যা থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুব উপকারী। বেশিরভাগ সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ ও ডি থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সামুদ্রিক মাছ খুবই উপকারী।

চিকিৎসক ও পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে গোশতের চেয়ে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার উপকারিতা বেশি। বস্তুত সামুদ্রিক মাছ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় এক বিস্ময়কর উপাদান। যারা সামুদ্রিক মাছ বেশি খান তাদের স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কম থাকে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই কমে যাওয়ার হার ৪০ শতাংশ। এছাড়া সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর সিলোনিয়াম যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরে কাজ করে ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২৮ অক্টোবর ২০১৮ (অনলাইন)

Sunday, October 28, 2018

4:49 AM

কালো জিরার আশ্চর্য সব গুণ

ঘরের নানা পদের রান্নাবান্নায়, ময়দা বা বেসনের তৈরি যে কোনও মুখরোচক ভাজাভুজিতে নিত্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হল কালো জিরে। শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও এই মশলার ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। আবহাওয়ার পরিবর্তনে হঠাৎ ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশির সমস্যার উপশমে কালো জিরে অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধি উপাদান।

কালো জিরাতে রয়েছে ফসফরাস, ফসফেট ও আয়রন। এই সব খনিজ শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কালো জিরে রাখা জরুরি। সর্দি কাশির সমস্যার মোকাবিলা ছাড়াও কালো জিরার একাধিক আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে যেগুলি হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আসুন কালো জিরার আশ্চর্য সব স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • কালো জিরার আয়রন ও ফসফেট শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য রাখে। তাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পথ্য হিসেবে কালো জিরা অত্যন্ত কার্যকরী।

  • বর্ষায় পেটের সমস্যা থাকলে কালো জিরা রাখুন মেনুতে। ভাজা কালো জিরে গুঁড়ো করে আধ কাপ দুধে মিশিয়ে খেলে তা পেটের সমস্যাকে দূরে রাখে।

  • কালো জিরার ফসফরাস রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। শরীরের যে কোনও জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালো জিরার ভূমিকা অসামান্য।

  • কালো জিরা অ্যান্টি-টক্সিনের কাজ করে। তাই প্রস্রাবকে নিয়মিত ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এই কালো জিরা।
  • অনেকেরই বর্ষায় ঠান্ডা লেগে মাথা যন্ত্রণা বা মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। ঘরোয়া উপায়ে তা কাটাতে হলে একটা কাপড়ের পুঁটুলিতে কালো জিরা বেঁধে তা রোদে শুকোতে দিন। এর পর তা নাকের কাছে ধরলে বুকে, মাথায় জমে থাকা শ্লেষ্মা সহজেই বেরিয়ে যায়, মাথা ধরাও ছেড়ে যায়।

সূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠ (অনলাইন)
4:42 AM

ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার ২০ উপায়

বুড়োরাই শুধু নয়, বহু তরুণও এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিসের সরাসরি নিরাময় না থাকায় এতে আক্রান্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তবে কিছু উপায় রয়েছে যা আগে থেকে পালন করলে ডায়াবেটিস দূরে রাখা যায়। এ লেখায় রয়েছে ডায়াবেটিস সচেতনতার তেমন কিছু উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

১. ডায়াবেটিসকে জানুন
শরীরের ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতায় রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। সময় থাকতেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। এতে আগে থেকেই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা যায়।

২. খাবারের পরিমাণ কমান
মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। এ কারণে খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত আগেভাগেই। খাবার খাওয়া কমানোর জন্য ছোট ছোট প্লেটে অল্প করে খাবার নিতে পারেন। এছাড়া খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলেও তাতে খাবারের পরিমাণ কমতে পারে।

৩. শারীরিক অনুশীলন করুন
আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে তা নানাভাবে আপনার স্বাস্থ্যের উপকার করবে। বিশেষ করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন রোগ দূরে রাখায় এর ভূমিকা রয়েছে। এতে ডায়াবেটিসের মতো রোগও দূরে থাকবে।

৪. ওজন কমান
শরীরের ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে তা ডায়াবেটিসকে ডেকে আনতে পারে। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫. লাল আটার খাবার
ধবধবে সাদা আটা-ময়দা বাদ দিয়ে লাল আটার তৈরি রুটি ও অন্যান্য খাবার খান। এটি আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে।

৬. সকালের নাস্তা গুরুত্ব দিন
সকালের নাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এটি কখনোই বাদ দেওয়া ঠিক নয়। সকালের নাস্তায় প্রোটিন যুক্ত করলে তা সারাদিনের ক্ষুধা কমায়। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমন ডায়াবেটিসও দূরে থাকে।
৭. ফ্যাটযুক্ত খাবার বাদ দিন

ফাস্ট ফুড দোকানের জাংক খাবার ও অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবারে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা আপনার রক্তে ক্ষতিকর কোলস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রাও বাড়ায়। তাই এসব খাবার বাদ দিতে হবে।

৮. মিষ্টি পানীয় বাদ দিন
তেষ্টা পেলেই মিষ্টি পানীয় বা কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস বাদ দিন। মূলত যে কোনো মিষ্টি পানীয়ই ক্ষতিকর। তাই এসব পানীয় সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন।

৯. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
আপনি যদি বিকালের ক্ষুধা নিবৃত্ত করার জন্য অস্বাস্থ্যকর পিজা বা ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে তাজা ফলমূল কিংবা সালাদ খেতে পারেন তাহলে তা ডায়াবেটিস থেকে আপনাকে রক্ষায় সহায়তা করবে।

১০. সবজি খান
অনেকেই সবজি খেতে মোটেই আগ্রহী থাকেন না। যদিও সবজি আপনার বহু উপকার করতে পারে। তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন পর্যাপ্ত সবজি।

১১. মানসিক চাপমুক্ত থাকুন
মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। প্রয়োজনে ইয়োগা, মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন।

১২. পর্যাপ্ত ঘুমান
রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। এতে আপনার দেহের ওপর চাপ কমবে এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ দূরে থাকবে। ঘুমের অভাবে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতি হয়।

১৩. আঁশযুক্ত খাবার খান
যেসব শাক-সবজি ও খাবারে প্রচুর আঁশ রয়েছে সেসব খাবার খান। এতে আপনার টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম করে আঁশযুক্ত খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

১৪. প্রচুর পানি পান করুন
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।পানি দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম চালানো সহজ করে দেবে। পর্যাপ্ত পানির অভাবে দেহের নানা সমস্যা হতে পারে।

১৫. স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো নীরবেই থাকে। এ কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা তা বুঝতে পারেন না। ফলে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

১৬. সূর্যতাপ গ্রহণ করুন
ভিটামিন ডি দেহের ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। আর সূর্যতাপ ভিটামিন ডি গ্রহণের অন্যতম উপায়। তাই নিয়সিক সূর্যতাপ গ্রহণে ডায়াবেটিস দূরে থাকে।

১৭. মসলাসমৃদ্ধ খাবার খান
জার্মান গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনিসমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস দূরে রাখতে সহায়তা করে। তাই খাবারে দারুচিনিসহ বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করুন।

১৮. সয়ার খাবার খান
সয়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। তাই সয়াযুক্ত খাবার খেয়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করুন। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে।

১৯. গ্রিন টি পান করুন
নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে, যা রক্তের শর্করা কমাতে ভূমিকা রাখে।

২০. ধূমপান বর্জন করুন
ধূমপানে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর কারণ হলো দেহের হরমোনজনিত পরিবর্তন। এ কারণে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে ধূমপান বর্জন করা উচিত।

সূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠ (অনলাইন)
4:29 AM

যে ১২টি খাবার বুড়োর মত না দেখাতে সাহায্য করে

পরিসংখ্যান বলছে আমেরিকায় বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ সংক্রান্ত গবেষণায় বিনিয়োগের মাত্রা ছাড়িয়েছে ৮ বিলিয়ান মার্কিন ডলার। এ থেকেই প্রমাণ হয়ে যায় যে, বুড়ো হতে চায় না এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। আপনিও যদি তাদেরই একজন হয়ে থাকেন তাহলে জেনে নিনি এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো খাওয়া শুরু করলে ত্বকের বয়স তো কমবেই, সেই সঙ্গে জিনের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করবে যে তার প্রভাবে শরীরেরও বয়স কমবে চোখে পড়ার মতো।

প্রসঙ্গত, এই খাবারগুলি খেলে কিন্তু বাস্তবিকই বয়স ধরে রাখা সম্ভব। কথাটা শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়? ভাবছেন খাবারের সঙ্গে বয়সের কী সম্পর্ক, তাই তো! আসলে বেশ কিছু খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেমন ধরুন নিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বয়স তো কমায়, সেই সঙ্গে শরীরকেও চাঙ্গা রাখে। শুধু তাই নয়, একাধিক মারণ রোগকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। ফলে আয়ু বাড়তে সময় লাগে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী খাবারের মধ্যে শরীরের বয়স কমানোর ক্ষমতা রয়েছে...

১. দই
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন দই খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে রিবোফ্লাবিন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি১২ এর মাত্রাও বাড়তে থাকে, যার প্রভাবে শরীরের বয়স কমে চোখে পড়ার মতো। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

২. অলিভ অয়েল
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর এই তেলটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি বয়সজনিত নানা অসুবিধা কমাতেও দারুন কাজে আসে।

৩. জাম
এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বয়স বাড়ার গতিকে আটকায়। শুধু তাই নয়, ক্র্যানবেরি, স্ট্রবেরি এবং অবশ্যই ব্ল্যাক বেরি শরীরের সার্বিক গঠনের উন্নতি ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিন যদি এই ফলটা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের ভাঙন রোধ হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর এবং ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে শুরু করে।

৪. বাদাম
শরীরকে ভাল রাখতে উপকারি ফ্যাটেরও প্রয়োজন পড়ে। তাই প্রতিদিন বাদাম খান মুঠো ভরে। এতে উপকারি ফ্যাটের পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে দারুন কাজে আসে।

৫. সবুজ শাকসবজি
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কপি পাতা এবং পালং শাকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সেলের ক্ষয় আটকে ত্বক এবং শরীরে বয়স ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. শস্যদানা
ঝাড়াই করা শস্য দানার পরিবর্তে যদি হোল গ্রেন খাওয়া যায়, তাহলে বয়স বাড়ার হার অনেকটাই হ্রাস পায়। শুধু তাই নয় এই ধরনের খাবার বয়সজনিত নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমায়, বিশেষত হার্টের রোগ হওয়ার পথ আটকায়। প্রসঙ্গত, আস্ত শস্যদানায় মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। ফলে দেহের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হতেও সময় লাগে না।

৭. আঙুর
রেজভারেটল নামে একটি যৌগ রয়েছে এই ফলটিতে, যা একাধারে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি- কোয়াগুলেন্ট। এই উপাদান দুটি হার্টকে ভালো রাখে। আর যেমনটা আগেও বলা হয়েছে যে শরীর তখনই চাঙ্গা থাকে, যখন হার্ট সুস্থ থাকে। তাই সুস্থ, রোগমুক্ত শরীরের অধিকারি হয়ে উঠতে প্রতিদিন একবাটি করে আঙুর খাওয়া মাস্ট! 

৮.মটরশুঁটি
হার্টকে নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মটরশুঁটির কোনো বিকল্প নেই। তাই আপনি যদি দীর্ঘদিন জোয়ান থাকতে চান, তাহলে হার্টকে সুস্থ রাখতেই হবে। তাহলেই দেখবেন শরীরের বয়স কমতে থাকবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই খাবারটি।

৯. গ্রিন টি
প্রতিদিন এক কাপ করে গ্রিন টি পান করলে শরীরে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রবেশ ঘটে। আর যেমনটা আমাদের সকলেই জানা যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যান্সার, হার্ট ডিজিজ, এমনকি অ্যালঝাইমার রোগ আটকাতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

১০. টমেটো
লাইকোপেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে টমেটোতে, যা ত্বকের বয়স কমায়। শুধু তাই নয়, স্টমাক, লাং এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে প্রতিরোধ করতেও এই সবজিটি দারুন কাজে আসে।

১১. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
শরীরের বয়স কমাতে এই উপাদানটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই দেহকে রোগমুক্ত রাখার পাশাপাশি শরীর এবং ত্বকের বয়স যদি ধরে রাখতে চান, তাহলে রোজের ডায়েটে মটরশুঁটি, ডাল, ব্রকলি, ছোলা, অ্যাভোকাডো এবং ওটমিলের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখতে ভুলবেন না যেন!

১২. মাছ
যেমনটা আমরা সকলেই জানি যে মাছে রয়েছে ওমেগা-ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদানটি শরীরের অন্দরে যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে দারুন কাজে আসে। ফলে শরীরের বয়স বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই সপ্তাহে দুবার অন্তত মাছ খান। এমনটা করলে দেখবেন স্ট্রোক এবং অ্যালঝাইমারের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমবে। ফলে বাড়বে আয়ু।

সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন

Saturday, October 20, 2018

8:39 PM

কফি খেলেই বাড়বে আয়ু!

এবার সকাল শুরু করুন কফির কাপে চুমুক দিয়ে৷ কারণ, নিয়ম করে কফি খেলেই বাড়বে আয়ু৷ এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা গেছে৷ সম্প্রতি কফি খাওয়া ও দীর্ঘজীবি হওয়ার মধ্যে একটি লিঙ্ক খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ 

পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষের উপর বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালানো হয়৷ যেখানে গবেষণা অর্ন্তভুক্ত প্রত্যেককেই দিনে ১-৮ কাপ কফি খাওয়ানো হয়৷ যার ফলাফল জামা ইন্টারনাল মেডিসিন নামে একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়৷

ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সিটিটিউটের এক গবেষক জানাচ্ছেন, ‘যারা প্রতিদিন ২-৩ কাপ করে কফি খেয়েছেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি তুলনামূলকভাব কম৷ অন্যদিকে, যারা কফি খাননি তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি কফি খাওয়া ব্যক্তিদের থেকে ১২ শতাংশের বেশি৷’ পুরনো তথ্য ঘেঁটে উঠে এসেছে আরও একটি বিষয়৷ যেখানে বলা হয়, দিনে ৩-৪ কাপ কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের উপর ভাল প্রভাব ফেলতে পারে৷ যেটি আবার গত বছর ব্রিটিশ মেডিকাল জার্নালে প্রকাশিত হয়৷

প্রায় একই তথ্য উঠে এসেছে স্প্যানিশ গবেষকদের হাতে৷ সেখানেও দেখা গিয়েছে, যারা দিনে চার কাপ করে কফি খেয়েছেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম৷ তাই, নিয়ম করে কপি খান৷ যা আপনার কাজের ক্লান্তিকে দূর করার সঙ্গে সঙ্গে কমাবে মৃত্যুর ঝুঁকিকে৷ তাই সকালটা কফির কাপ হাতে নিয়ে শুরু করুন৷ যেটি আপনার দিনকে করে তুলুক তরতাজা এবং ফ্রেস৷ 

সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৮ অক্টোবর ২০১৮ (অনলাইন)