i-Health News

Health News Update

Breaking

Friday, April 13, 2018

এসিডিটি এড়াতে করণীয়

খাওয়ার সময় আমরা সাধারণত কার্বোহাইড্রেট (শ্বেতসার) ও প্রোটিন (আমিষ) একসাথে খেয়ে থাকি। সমস্যাটা এখানেই। কারণ পাকস্থলীতে গিয়ে শ্বেতসার যত সহজে হজম হয়, আমিষ কিন্তু তত সহজে হজম হয় না। ফলে বদহজম ও এসিডিটি হয় অনেকেরই। সমস্যাটির সমাধানে পুষ্টিবিদেরা খাওয়ার সময় প্রোটিনের পরিমাণ কম খেতে বলেন। বিশেষ করে গোশত, ডিম ও মাছ অতিরিক্ত গ্রহণের কারণেই বদহজম ও এসিডিটি হয়ে থাকে।

আমিষ হজম হতে বেশি সময় লাগে, আর শ্বেতসার সহজেই হজম হয়ে ভেঙে যায়। অথচ পাকস্থলীতে শ্বেতসার ও আমিষ একসাথে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। এতে সামগ্রিক হজমপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় পেটে গ্যাস সৃষ্টি হয়। কিন্তু বাঙালি মাত্রই প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট একসাথে খাওয়ার অভ্যাস। তাই এ সমস্যা সমাধানে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খেতে হবে আগে শ্বেতসার এবং পরে প্রোটিন। অথবা দুটো একসাথে খেলেও এ দুটোর সাথে প্রচুর সবি জবা সালাদ খেতে হবে। খাওয়ার সময় পানি পানের প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে ঠাণ্ডা পানিতো নয়ই। এতে রক্তনালী সঙ্কোচন হয় এবং ফ্যাট আরো শক্ত হয়ে হজমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এতে দেহের শক্তি হজমে নয়, বরং দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেই বেশি ব্যবহৃত হয়।

তবে খাওয়ার সময় হালকা উষ্ণ পানি পান করলে খাদ্য বেশ সহজে হজম হয়। জাপানিদের খাবার গ্রহণের আগে গরম পানি বা স্যুপ খাওয়ার অভ্যাস আছে। খাবার চলাকালে পানি পান না করাই উত্তম। তবে অল্প পানি পানে খুব একটা সমস্যা হয় না। খাবার সহজে হজম এবং এসিডিটি প্রতিরোধ করার জন্য খাবারের এক বা আধা ঘন্টা আগে ও পরে পানি পান করতে হবে। সূত্রঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত, ২ এপ্রিল ২০১৮।

No comments:

Post a Comment