i-Health News

Health News Update

Breaking

Tuesday, October 8, 2013

Neem (AZADIRACHTA INDICA) will remove cancer

নিম থেকে মিলবে ক্যান্সারের প্রতিষেধক-এমনটাই দাবি করেছেন কলকাতার একদল বিজ্ঞানী। তাদের দাবি আদি অকৃত্রিম প্রাকৃতিক নিমেই লুকিয়ে আছে ক্যান্সারনাশের চাবিকাঠি। ভারতীয় পত্রিকা ‘এই সময়’র অনলাইন সংস্করণে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

চিকেন পক্সের যাতনা দুরসহ গ্রামাঞ্চলে নানা রোগের চিকিৎসায় ভেষজ ঔষধি গুণসম্পন্ন নিম ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এই দাবির পক্ষে মত দিয়ে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিএনসিআই) গবেষকরা বলেন, নিমপাতা থেকে পাওয়া এক ধরনের গ্লাইকোপ্রোটিন, টিউমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই গ্লাইকোপ্রোটিনের সূত্র ধরেই তারা আবিষ্কার করে ফেলেছেন এমন এক ওষুধ, যা সারিয়ে ফেলতে পারে ক্যান্সারও। ইনস্টিটিউট নিমের পাতা থেকে একটি মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। সেটা ক্যান্সারে আশ্চর্য রকমভাবে কাজ করে। এই অ্যান্টিবডির পেটেন্ট পাওয়ার জন্য এরই মধ্যে তারা আবেদন করেছে।’

নিমের ঔষধি গুণাবলির বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে বছর দশেক আগে নিমপাতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। ইমিউনোলজি বিভাগের গবেষক দল দেখতে পায়, নিম-লিফ গ্লাইকোপ্রোটিনের (এনএলজি) অ্যান্টি টিউমার অ্যাকটিভিটি আছে। তাই তারা আরও গভীরভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। গবেষণায় যে ফল পাওয়া গেছে তা বেশ আশাপ্রদ।’ গবেষক দলের অন্যতম সদস্য অর্ণব দাস এনএলজির থেকে একটি মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি তৈরি করেছেন, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী। গবেষক দলের অপর সদস্য, সিএনসিআই’র বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান স্মরজিৎ পাল বলেন, ‘কোলন ক্যান্সারের সময় শরীরে কারসিনো-এমব্রায়োনিক অ্যান্টিজেন (সিইএ) নামক একটি প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, এনএলজির বিরম্নদ্ধে তৈরি এই মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি শরীরে সিইএ’র পরিমাণ কমিয়ে দেয় অনেকটা। আর সিইএ যদি কমিয়ে দেয়া যায়, তাহলে ক্যান্সারকের আয়ত্তে আনা সম্ভব।’

এসব তথ্যের বাইরেও সিএনসিআই’র বিজ্ঞানীদের দাবি, এই মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি যেহেতু ক্যান্সারের টার্গেটেড থেরাপি (যা কাজ করে শুধু ক্যান্সার আক্রান্ত কোষেই), তাই শরীরের অন্য কোষের ক্ষতি না করেই তা সারিয়ে ফেলবে ক্যান্সারকে। সব ক্যান্সারকেই কি সারিয়ে ফেলতে পারে এই অ্যান্টিবডি?-এমন প্রশ্নের জবাবে স্মরজিৎ পাল বলেন, ’এখনও পর্যন্ত বৃহদন্ত্র, স্তন, ডিম্বাশয় ও ফুসফুসের ক্যান্সারে সিইএ’র উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। কাজেই শরীরের এসব অংশের ক্যান্সার সারিয়ে ফেলা সম্ভব। বাকিটা এখনও পরীক্ষার স্তরে রয়েছে।’ উৎস: দৈনিক বর্তমান, ১৩ জুলাই, ২০১৩

No comments:

Post a Comment