বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল পাওয়া
যায়। এর মধ্যে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তাবাদাম, খোরমা ইত্যাদি
সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজে খাওয়া যায়। বিভিন্ন দেশে এগুলো স্ন্যাক্স হিসেবে অহরহ
ব্যবহৃত হয়। এগুলো শুধু সৌন্দর্যে নয়, স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর জুড়ি মেলা ভার। শুকনো
খাবার বিভিন্ন ভিটামিন, অতি প্রয়োজনীয় চর্বি এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টির একটি
চমৎকার উৎস। এগুলো বিভিন্ন সৌন্দয্যপণ্যের মূল উপাদান হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এত
কিছুর পাশাপাশি সৌন্দর্য রক্ষায়ও এর অসাধারণ ক্ষমতা আছে। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে,
বিশ্বজুড়ে সৌন্দর্য সচেতন নারীদের শুকনো ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এখানে
কয়েকটি শুকনো ফলের পুষ্টিগুণ দেয়া হলো-
কাঠবাদাম (Almond): দেখতে ছোট হলেও অতি উচ্চ পুষ্টির উপাদান এ শুকনো ফলে
আছে। আছে অত্যাবশ্যক ফ্যাটি এসিড, ফাইবারস ও প্রোটিন। কাঠবাদাম রক্তে কোলেস্টেরল
কমানোর পাশাপাশি শরীরে লাং ও স্তন ক্যান্সারের সংক্রমণ রোধ করে।
কিশমিশ (Raisins): সাদা মুক্তের মতো দাঁত ও জ্বলজ্বলে চোখ জোড়া রক্ষা করতে
দৈনিক এক মুঠো কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কিশমিশ দাঁতের ক্ষয়ের বিরুদ্ধে
লড়াই করে এবং ক্যাভিটিস দূরে রাখে। কিশমিশে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও
আয়রণে ভরপুর থাকে। সেহেতু যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী
খাদ্য এটি।
আখরোট (Walnut): আখরোটের
মধ্যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের প্রাচুর্য পাওয়া যায়, যা ত্বক মসৃণ করে। আখরোট
মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে পরিচিত। মানুষের মস্তিষ্কের ৬৯ শতাংশ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড
দ্বারা গঠিত হয়, যা আখরোটের মধ্যে প্রচুর পাওয়া যায়। আখরোটের তেলে আছে লিনোলিক
এসিড, যা রিঙ্কেল এবং ফাইন লাইনের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।
কাজুবাদাম (Cashew): কাজুবাদাম কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার, মাইগ্রেইন ও উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
পেস্তাবাদাম (Pistachio Nut): পেস্তাবাদামকে পুষ্টির পাওয়ার হাউজ
বলা হয়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই বাদাম রক্তের শর্করা কমিয়ে দেয়, হজমে সাহায্য করে,
হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে এবং আপনার শরীরে ফাইবার ও প্রোটিন সরবরাহ করে।
সূত্র:
দৈনিক নয়াদিগন্ত, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩।
No comments:
Post a Comment