i-Health News

Health News Update

Breaking

Thursday, September 28, 2017

ঝাল স্বাস্থ্যে জন্য উপকারী

হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড ও পিকিং বিশ্ববদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখান যে, যারা মোটেও ঝাল খান না, তাদের তুলনায় যারা প্রতিদিন বা সপ্তাহে অন্ততঃ দুই-তিন দিন ঝাল খান, তাদের হৃদরোগ, ফুসফুস ও ক্যান্সারজনিত রোগে মৃত্যুর হার কম।

ঝালের মূল উপাদান হলো ক্যাপসেইসিন। এর নানামুখী উপকারিতা রয়েছে। যেমন, এটি পরিপাকতন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে সরিয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে এবং বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফলে যারা অতিরিক্ত ঝাল খান তাদের দেহে চর্বি জমার হার সাধারণের তুলনায় কম। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ক্যাপসেইসিনের ভূমিকা আছে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ক্যাপসেইসিন ভূমিকা রাখে। ক্যাপসেইসিন এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রক্তনালীতে চর্বি জমতে দেয় না। হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালীর স্নায়ুগুলো ক্যাপসেইসিনে সংবেদনশীল। এই স্নায়ুগুলোর সুস্থতায় ভূমিকা রাখে ক্যাপসেইসিন। গবেষকরা বলেন, শুকনো বা গুঁড়া মরিচের তুলনায় কাঁচামরিচে ক্যাপসেইসিনের পরিমাণ বেশি থাকে। কাঁচামরিচে ভিটামিন-সিও থাকে অনেক। তাই রান্নায় বা সালাদে কাঁচামরিচ থাকাটা ভালো।

আবার দেখা গেছে, সবুজ কাঁচামরিচের তুলনায় লাল রঙের কাঁচা মরিচ আরো ভালো। কাঁচামরিচের এই গুণগুলো পাওয়া যায় ক্যাপসিকামেও। তাই ঝাল মানেই খারাপ, এই ধারণা একেবারেই ভুল। শাকসব্জি ও তরকারি, মাছ-গোশত এবং ঝোল তরকারিতে অথবা সালাদ জাতীয় খাবারে কাঁচামরিচের টুকরা দিয়ে ঝাল করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট ভালো। বিশেষ করে হৃদরোগীদের জন্য এ ধরনের ঝাল খাওয়া আরো ভালো বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। সূত্র: দৈনিক নয়াদিগন্ত, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।

No comments:

Post a Comment