কমলাকে বলা হয় শতগুণে সমৃদ্ধ পুষ্টিতে ভরপুর একটি ফল। পুষ্টিবিদেরা বলেন, কমলার কোয়া ও খোসা দুটোতেই রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ফ্ল্যাভনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ডায়েটারি ফাইবার। একজন মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন-সি’র প্রয়োজন, তার প্রায় পুরোটাই পাওয়া যায় একটি মাত্র কমলায়। মানবদেহে ইমিউন সিস্টেম বাড়িয়ে কমলা ঠা-া লাগা ও কানের সমস্যা দূর করে। কমলায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা শরীরের কোষের ক্ষয় রোধ করে। লিমোনয়েড নামে একধরনের পদার্থ রয়েছে কমলা লেবুতে, যা মুখ, ত্বক, ফুসফুস, স্তন ও পাকস্থলীতে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য জরুরি উপাদান ফলিক এসিডও যথেষ্ট পরিমাণে থাকে কমলায়। তাই মাঝে মাঝে শিশুদের কমলা লেবু খাওয়ানো উচিত। কমলায় থাকে ভিটামিন বি৬, যা মানবদেহে প্রয়োজনীয় হিমোগ্লোবিন তৈরি করে এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমের ভারসাম্য বজায় রাখে। কমলা খেলে খিদে ও খাওয়ার রুচি বাড়ে, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং লিভার ও হার্টের বিভিন্ন রোগ সারায়। হাইপারটেনশনের রোগীদের ক্ষেত্রেও কমলা বেশ উপকারী একটি ফল। কমলার খোসাতেও রয়েছে অনেক গুণ। যেমন পাকা কমলার খোসা স্কিনে ব্ল্যাকহেডস এবং দাঁতের হলদে ভাব দূও করে। এজন্য পাকা কমলার তাজা খোসা বেঁটে টুথপেস্টের মতো ব্যবহার করতে হবে। সূত্রঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত, ১ মার্চ ২০১৮।
No comments:
Post a Comment