বেগুন ভিটামিন
বি১, কপার, ডায়াটারি
ফাইবার, ভিটামিন
বি৬, ভিটামিন
কে, নিয়াসিন (ভিটামিন
বি৩), ফোলেট, পটাশিয়াম
ও ম্যাঙ্গানিজের বড় উৎস। এছাড়া সুনির্দিষ্ট ৭টি
গুণ রয়েছে বেগুনে। এগুলো আপনাকে বিস্মিত করবে।
বেগুনে রয়েছে
নির্দিষ্ট পরিমাণে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট। এটা মস্তিস্ককে সতেজ রাখে, রক্ত
চলাচলে সহায়তা করে। এই পুষ্টিগুণ বেগুনের উপরিস্থিত ত্বকে থাকে। অতএব বেগুনের
উপরিভাগ ফেলে দেয়া চলবেনা।
২. কোলন ক্যান্সার রোধ
করে
বেগুন ফাইবারের
(আঁশ) বিস্ময়কর উৎস। এটা হজমের উন্নয়ন ঘটায়। নিয়মিত বেগুন খাওয়ার ফলে
হজমের বিভিন্ন ক্রিয়ায় ব্যাঘাত এমন কিছুকে প্রতিরোধ করে। একই সাথে কোলন
ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে।
৩. ওজন কমাতে সহায়তা করে
বেগুনে ক্যালরি
থাকে খুবই কম। প্রতি কাপ বেগুনে মাত্র ১৩ ক্যালরি থাকে। এতে কোনো ধরনের
চর্বি থাকেনা। বেগুনে ফাইবার দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগার অনুভূতিকে প্রতিরোধ
করে। এভাবে শরীরের ওজন কমিয়ে রাখতে বেগুন সহায়তা করে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
সহায়তা করে
বেগুনে রয়েছে
স্বল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। গোল বেগুন দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ও ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেক আধুনিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত।
৫. কার্ডিওভাস্কোলার রোগ
প্রতিরোধ করে
নিয়মিত গোল বেগুন খেলে
কার্ডিওভাস্কোলার রোগের উন্নয়ন করে এবং হুদরোগ প্রতিরোধ করে। ইউনাইটেড স্টেটস
ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের ২০০৩-এ প্রকাশিত জার্নালে বেগুনে রয়েছে
এন্টি মাইক্রোবায়াল, এন্টি মিউটেজেনিক, এন্টিভাইরাল
এবং এন্টি এলডিএল উপাদান। বেগুনের অবিশ্বাস্য গুণাগুণ পেতে হলে বেগুনকে
সঠিক উপায়ে রান্না করতে হবে।
৬. উচ্চ রক্তচাপ কমায়
বায়োফ্লেবোনয়েড নামক
উপাদানে ভর্তি বেগুনে। এ উপাদানটি মানুষের ভেতরের স্ট্রেস (চাপ) এবং উচ্চ রক্তচাপ
কমিয়ে দেয়।
৭. রক্ত জমাট বাধা
প্রতিরোধ করে
বেগুন অভ্যন্তরীণভাবে
রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। নিয়মিত বেগুন খেলে ক্যাপিলারিজ
(কৈশিক নালী) শক্তিশালী করে। বেগুনে এসব ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ‘কে'।
আধা কাপ সিদ্ধ বেগুনে রয়েছে যেসব পুষ্টিগুণ
** ১৩ ক্যালরি (৭% চর্বি)
** ১ গ্রাম চর্বি
** ০ কোলেস্টেরল
** ৪ গ্রাম প্রোটিন
** ১১৯ এমজি পটামিয়াম
** ২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। সূত্র: দৈনিক নয়াদিগন্ত, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
No comments:
Post a Comment