আখের রস ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন,
কার্বহাইড্রেট, প্রোটিনসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থে ভরপুর। প্রচুর
এ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এই রস দেহে বিভিন্ন ইনফেকশনের প্রাকৃতিক প্রতিষেধক
হিসেবে কাজ করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এই রসে যে
ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য ইলেকট্রোলাইট আছে সেগুলো ডিহাইড্রেশনের
জন্য অতুলনীয়। ইক্ষু রস মূত্রবর্ধক, ফলে এই রস কিডনির কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়ে
কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে। আয়ুর্বেদিক মতে এই রস জন্ডিসের প্রতিষেধক ও
লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এই রস সাধারণ সর্দি ও সর্দিজ্বরের বিরুদ্ধে ভূমিকা
রাখার পাশাপাশি দেহে প্রোটিনের স্বল্পতা দ্রুত দূর করে এবং কার্বহাইড্রেট, আয়রন,
পটাশিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ উপাদান বৃদ্ধি করে। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র মতে, এই রস
পাকস্থলীর সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। আরেকটি বিষয়
হলো, ইক্ষু রস পানে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই রস পান করা উচিত। মনে রাখতে হবে, আখ চিবিয়ে রস খাওয়াই
উত্তম। রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া রস খাওয়া উচিত নয়। সূত্র: দৈনিক নয়াদিগন্ত, ৩
সেপ্টেম্বর ২০১৬।
Friday, September 2, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment