শীতকাল ফুলকপির মওসুম। ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে ফুলকপি। মূত্রথলি, প্রোস্টেট, স্তন ও ওভারীর (ডিম্বাশয়) ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য উপকারী বন্ধু এই সব্জি।
এতে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলোই কাজ করে ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে। প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও ‘এ’র বসতি এই ফুলকপিতে। ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘এ’ এই সময়ের অসুখগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। যেমন-জ্বর, কাশি, সর্দি, টনসিলে ইনফেকশন।
আর ভিটামিন ‘এ’ সবার চোখের জন্য খুব জরুরি। ছোট-বড় সবার জন্য বয়ে আনে সুফল। খাবার চিবাতে পারে এমন শিশুদের
জন্য চাল-ডালের সঙ্গে ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁটা ছাড়ানো ছোট মাছের খিঁচুড়ি ভীষণ উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের রোগীরা কোনোরকম ভীতি ছাড়াই খেতে পারেন এই সব্জি। তবে যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে, তারা ফুলকপি পরিহার করুন। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ আমিষ। দুর্বল কিডনি অতিমাত্রায় আমিষ গ্রহণ করতে পারে না। ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্যসহ পাকস্থলী, কোলন, পায়ুপথ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এই সব্জি আমাদের দেহে গয়ট্রিন নামে হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন গয়টার অসুখ তৈরি করে। তবে সবার নয়। যাদের থাইরয়েড গ্ল্যান্ড দুর্বল বা কোনো জটিলতা রয়েছে, তাদের ফুলকপি খাওয়া অনুচিত। গলগ-, কিডনীর রোগী ছাড়া ফুলকপি সবার জন্য যথেষ্ট উপকারী। সূত্রঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭।
No comments:
Post a Comment