গ্যাস্ট্রিক বা
এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই
ভুগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক
নামি দামি ঔষধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে যদি এর
নিরাময় করা যায়, তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করার দরকার হয় না।
এরকম কিছু উপাদানের
কথা জেনে নেয়া যাক:
লং (Clove)
যদি আপনি
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন,
তবে লং হতে পারে আপনার সঠিক পথ্য। দুইটি লং মুখে নিয়ে
চিবাতে থাকুন, যেন
রসটা আপনার গলার ভেতরে যায়। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে।
জিরা (Cumin)
এক চা চামচ জিরা
নিয়ে ভেজে ফেলুন। এবার এটিকে এমন ভাবে গুড়া করুন যেন পাউডার না হয়ে যায়, একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এই গুড়াটি একগ্লাস পানিতে
মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

গুড় (Jaggery)
গুড় আপনার বুক
জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে
একটুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগিদের
ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ।



দুধ এবং মাখন
দিয়ে তৈরী মাঠা একসময় আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় ছিল। এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো
কাজ করে যদি এর সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া যোগ করেন।
পুদিনা পাতা (Mint)


বোরহানী (Raita)
টক দই, বীট লবণ ইত্যাদি নানা এসিড বিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরী
বলে এটি হজমে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ভারী খাবারের পর একগ্লাস করে
খেতে পারলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
তুলসী পাতা (Basil)


আদা (Ginger)
আদাও এমন একটি
ভেষজ উপাদান যা আমাদের অনেক কাজে লাগে। প্রতিবার খাদ্য গ্রহনের আধা ঘন্টা আগে ছোট
এক টুকরো আদা খেলে দেখবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা গায়েব হয়ে গেছে।


দুধ (Milk)
দুধের মধ্যে আছে
প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা
পাকস্থলীর এসিড কমাতে সাহায্য করে। রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে
খালি পেটে সেই ঠান্ডা দুধটুকু খেলে সারাদিন এসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা যাবে। তবে
কারো পেট দুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল,
এদের ক্ষেত্রে দুধ খেলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।


ভ্যানিলা আইসক্রিম (Vanilla Ice cream)
আইসক্রিম খেতে
আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন ভ্যানিলা আইসক্রিম শুধু আমাদের তৃপ্তিই
যোগায় না, সাথে
এসিডিটি দুর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে! কি এটা শুনে আইসক্রিম খাওয়া আরো বাড়িয়ে
দিলেন নাকি? তবে সাবধান আবার ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলবেন না কিন্তু। সূত্র: প্রথম সংবাদ, ২১ ডিসেম্বর ২০১৩।
No comments:
Post a Comment